করোনা ভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে
রুট গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ গত ৩ জুলাই অনলাইনে উদ্বোধন করেছে সুইস প্রযুক্তি সহায়তায় উদ্ভাবিত স্বাস্থ্য সুরক্ষায় “করোনা কিলার”। বাংলাদেশের গার্মেন্টস খাতের জন্য এটা বিশাল এক মাইলফলক।
বাংলাদেশে এরকম উদ্যোগ বিশ্বের অন্যসব দেশের থেকে বাংলাদেশকে আলাদাভাবে পরিচিত করবে এবং এদেশের বস্ত্র এবং তৈরি পোশাক শিল্প একধাপ এগিয়ে থাকবে অন্যদের থেকে।
ব্যাক্তিগত ব্যাবহারের পাশাপাশি এই ফেব্রিক বিভিন্ন কাজে ব্যাবহার করা যাবে। হাসপাতালে ব্যাবহৃত প্রচলিত কাপড়ের বিকল্প ও হতে পারে এটি। তবে এক্ষেত্রে আরো গবেষনা করে এর বিভিন্ন ব্যাবহারের দিক গুলি যাচায় করতে হবে।
রুট গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ এর এই উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিদেশি ক্রেতারাও যুক্ত হয়েছিলেন। বিদেশে এই ফেব্রিকের ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি করা সম্ভব।
Advanced silver এবং vesicle প্রযুক্তির সমন্বয়ে সৃষ্টি করা করোনা কিলার ইতোমধ্যে করোনা ভাইরাস সহ বিভিন্ন ভাইরাসকে খুব সল্প সময়ে অকার্যকর করে দিতে সক্ষম হয়েছে বলে প্রমাণিত হয়েছে। এই প্রযুক্তির কাপড় করোনার পাশাপাশি ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং অন্যান্য ভাইরাসের বিরুদ্ধেও কার্যকর ফলে ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়ার গতি কমে আসবে বলে আসা করা হচ্ছে ।

প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের দাবি এই কাপড় মাত্র ২ মিনিটে ৯৯.৯৯% ভাইরাস দমাতে সক্ষম। Antimicrobial textile treatment সমৃদ্ধ হবার জন্য এটি ২০ বার ধৌত করার পরো কার্যকরী থাকে।
ভবিষ্যতের পোশাকে এই বিশেষ ধরনের কাপড় ব্যাবহার করে পিপিই, মাস্ক, আইসোলেশন গাউন, জুতার কাভার, ডেনিম, নন ডেনিম, প্যান্ট, শার্ট, মহিলাদের পোশাক, টি শার্ট, পোলো শার্ট, হোম টেক্সটাইল, এয়ার ফিল্টারের মত নতুন নতুন পণ্য বাজারে আনা সম্ভব। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ এই প্রযুক্তিতে প্রথম উৎপাদনে যাওয়ার জন্য প্রতিযোগীদের থেকে অনেক এগিয়ে থাকবে।
সৌজন্যে : defres360
ফ্রান্স বাংলা/০৪/২০২০